একসঙ্গে অনেকগুলো প্রোগ্রাম চালালে কম্পিউটার র্যাম নিজের মেমোরি ছাড়াও প্রয়োজনমতো হার্ডডিস্কের জায়গা ব্যবহার করে। এটাকে কম্পিউটারের ভার্চুয়াল মেমোরি বলে, যা সোয়্যাপ ফাইল নামেও পরিচিত। র্যামের নিজস্ব ধারণক্ষমতার বাইরে গেলেই অতিরিক্ত এই মেমোরির প্রয়োজন হয়। কিন্তু হার্ডড্রাইভ র্যামের তুলনায় ধীরগতির। ফলে ভার্চুয়াল মেমোরি বাড়িয়ে বেশি প্রোগ্রাম চালাতে পারলেও র্যামের মতো অতটা দ্রুতগতির হবে না।
কম্পিউটারে তথ্য ধারণের জন্য আছে হার্ডড্রাইভ আর মেমোরির জন্য আছে র্যাম। র্যামের গতি স্বাভাবিকভাবেই ড্রাইভ স্টোরেজের চেয়ে বেশি। র্যামের এই তথ্য ধারণক্ষমতা আবার স্থায়ীভাবে থাকে না। কম্পিউটার বন্ধ করলেই র্যামের সবকিছু মুছে যায়। যখন কোনো ফাইল সেভ করা হয়, তখন আসলে র্যাম থেকে সেটা ড্রাইভ স্টোরেজে কপি করা হয়। কোনো প্রোগ্রাম বা ফাইলের চালানোর জন্য যখন র্যামে পর্যাপ্ত কোনো জায়গা থাকে না, তখনই ভার্চুয়াল মেমোরির কাজ শুরু হয়। কোনো কারণে এই ভার্চুয়াল মেমোরি কম দেখালে নতুন র্যাম কেনা যেতে পারে অথবা সোয়্যাপ ফাইল বাড়িয়ে এ সমস্যাটা দূর করা যায়। প্রথমটার জন্য কিছু টাকা খরচ হবে, পরেরটা আবার কম্পিউটার গতি কিছুটা কমিয়ে ফেলে।
কম্পিউটারের ভার্চুয়াল মেমোরি পরিবর্তন করতে হলে ডেস্কটপে থাকা কম্পিউটার আইকনে ডান ক্লিক করে প্রোপার্টিজ নির্বাচন করুন। অথবা কিবোর্ডের উইন্ডোজ বোতাম চেপে তাতে system লিখে কন্ট্রোল প্যানেলের নিচে থাকা সিস্টেমে ক্লিক করুন। সিস্টেম উইন্ডো থেকে বাঁয়ের Advanced system settings অপশনটি বাছাই করুন। এবার Advanced ট্যাবে ক্লিক করে নিচের Performance অংশের সেটিংস বোতামে ক্লিক করুন। এখান থেকে আবার Advanced ট্যাবে ক্লিক করে ভার্চুয়াল মেমোরি অংশের Change বোতামে ক্লিক করুন। তারপর Automatically manage paging file থেকে টিক উঠিয়ে নিচের System managed size নির্বাচন করুন অথবা কাস্টম সাইজে গিয়ে সর্বোচ্চের ঘরে র্যামের দ্বিগুণ ক্ষমতার কিছুটা কম এবং সর্বনিম্নের ঘরে অর্ধেক মান বসান। পাশের Set বোতামে ক্লিক করে খুলে রাখা সব কটি উইন্ডো ওকে করুন। কম্পিউটার বন্ধ করে আবার চালু বা রিস্টার্ট করার ডায়ালগ বক্স আসবে। কম্পিউটার রিস্টার্ট দিন। এখন থেকে কম্পিউটার তার নিজের দরকারমতো ড্রাইভ স্টোরেজ থেকে ভার্চুয়াল মেমোরি নির্ধারণ করে নেবে।
http://youtu.be/lL-7VEN9coE
http://youtu.be/lL-7VEN9coE
+ comments + 1 comments
Thanks
Post a Comment